উত্তর : রিযিকের অভাবের আশঙ্কায় জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েয নয়। সন্তান বেশি হলে কী খাওয়াব— এই চিন্তা থেকে যদি কেউ জন্মনিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে তা হারাম। এ বিষয়ে সারা পৃথিবীর ইসলামিক স্কলার একমত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ ۚ إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا
অর্থ : তোমরা সন্তানদেরকে দারিদ্যের ভয়ে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই রিযিক দিই। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহা অপরাধ।
[সূরা বনী ইসরাঈল : ৩১]
এই আয়াতে স্পষ্ট ঘোষণা করা হয়েছে যে, একমাত্র আল্লাহ রিযিক দান করেন। এজন্য রিযিকের আশঙ্কায় জন্মনিয়ন্ত্রণ করা কোনো অবস্থায়ই জায়েজ নয়।
এমনইভাবে স্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করাও হারাম। এ ব্যাপারেও সকল ইসলামিক স্কলার একমত। তবে যৌক্তিক কারণে অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা জায়েজ। যেমন যদি অসুস্থতাজনিত কারণে স্ত্রীর জন্য সন্তান ধারণ করা কঠিন হয় অথবা সন্তানধারণের ফলে স্ত্রী বা সন্তান প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে কিংবা পরিবেশগত কারণে সন্তানকে আদর্শরূপে গড়ে তোলা সম্ভব না হয় কিংবা সন্তান গ্রহণ করলে একাধিক সন্তানকে একসঙ্গে প্রতিপালন করা কঠিন হয়ে পড়ে, তবে সাময়িকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে।
অতএব, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আপনি শুধুমাত্র প্রতিপালনের সুবিধার্থে দুই তিন বছরের বিরতি দেওয়ার জন্য সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে চান, তবে তার অবকাশ রয়েছে।
সূত্র : সহিহ বুখারি, ৫২০৯; সহিহ মুসলিম, ১৪০২; রাদ্দুল মুহতার, ৩/১৭৫; কারারাতু ওয়া তাওসিয়াতু মাজমাইল ফিকহিল ইসলামিয়্যিদ দুয়ালি, পৃ. ৮০; ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়িমা, ১৯/২৯৮-৩০০
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৩ টি প্রশ্ন আছে
২২ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৩ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯০ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে