উত্তর: সালাত আদায় মূলত মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো। তাই সাধ্যানুযায়ী এমন মার্জিত পোশাকে সালাত আদায় করা উচিত, যে পোশাক পরে আমরা সম্মানিত ব্যক্তিদের সাক্ষাতে বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে থাকি। যে পোশাক পরে সম্মানিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় না, তা পরে সালাত আদায় উচিত নয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: يَا بَنِي آدَمَ خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ - ‘হে বনী আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে।’ (সূরা আ’রাফ: আয়াত ৩১; ই. ফা. বা.) প্রসঙ্গত, হাদিসে কাঁধ ঢেকে সালাত আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يُصَلِّي أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ لَيْسَ عَلَى عَاتِقَيْهِ مِنْهُ شَيْءٌ- রাসুল সা. বলেন, ‘উভয় কাঁধে কাপড়ের অংশ না রেখে তোমাদের কেউ যেনো এক কাপড়ে সালাত আদায় না করে!’ (বুখারি, হা/৩৫২; মুসলিম, হা/৫১৬)
তাই স্যান্ডো গেঞ্জি এবং এজাতীয় অন্যান্য কাপড় -যেগুলোতে কাঁধ খোলা থাকে- পরিধান করে নামাজ আদায় করা মাকরূহ। তদ্রূপ, জামার হাতা বা নিচের কোনো অংশ ভাঁজ করে নামাজ পড়াও নিষেধ। তবে হাফহাতা-শার্ট ও গেঞ্জি পরে সালাত আদায় করা নিষিদ্ধের আওতায় পড়বে না- যদি তা পরিচ্ছন্ন এবং সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহারযোগ্য হয়। অন্যথায় মাকরূহে তানযিহি হবে।
অনেকে স্পোর্টস ড্রেস পরে সালাত আদায় করে থাকেন, অনেক সময় সেসব পোষাকে আল্লাহতে অবিশ্বাসী খেলোয়াড়দের নাম লেখা থাকে। এমন গেঞ্জি বা টি-শার্ট পরে সালাত আদায় সালাতের ভাব-গাম্ভীর্য নষ্ট করে, তাছাড়া মসজিদে এ ধরণের পোষাক পরে সালাত আদায় করলে পেছনে মুসল্লীদের মনযোগও বিঘ্নিত হয়। তাই এসব পোশাকেও সালাত আদায় করা উচিত নয়। স্মর্তব্য, আমরা যে পোশাক পরে সম্মানিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাত কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অনুষ্ঠানে যেতে সংকোচ বোধ করি, সে পোশাকে মহান আল্লাহর সামনে (সাালাতে) কিভাবে দাঁড়াবো! রদ্দুল মুহতার: ১/৬৪১;
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০২ টি প্রশ্ন আছে
২১ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫১ টি প্রশ্ন আছে
১৩১ টি প্রশ্ন আছে
১৮৫ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে